অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ডে-কেয়ার সেন্টার কর্মজীবী মায়েদের নিশ্চিন্তে কর্মক্ষেত্রের সুযোগ সৃষ্টি করছে। আজ এখানে অনেক মা উপস্থিত আছেন। এসব কর্মজীবী মায়েদের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ঢাকায় মালিবাগে স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান কার্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডে-কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে যৌথ পরিবার প্রথা ব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একক পরিবারের সংখ্যা দেশে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক মা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কর্মে যোগ দেয় না। ভাল মানের ডে-কেয়ার হলে তারা চাকুরিতে যোগ দিবে। তার শিশুর জন্য মানসম্মত উপযুক্ত স্থানে নিরাপদ ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার লক্ষ্যে শিশুর দিবাকালীন অবস্থানের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসকল বাস্তবতা বিবেচনা করে কর্মজীবী মায়েদের নিশ্চিন্তে কাজে যাওয়া এবং শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২১’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্পেশাল ব্রাঞ্চ বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সরকার শিশুদের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীল। তাদের সুষ্ঠু বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে কর্মজীবী মায়েদের সন্তানদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে শিশু দিবাযত্ন।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। স্মার্ট সিটিজেন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে প্রয়োজন শিশুদের যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করা। তাদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠা নিশ্চিত করতে পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সহজ হবে।
ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের সুবিধা রেখে সরকারি ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ভবনে দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নারী-পুরুষ উভয়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। অফিস ও কর্মস্থলে ডে-কেয়ার সেন্টারের সুবিধা থাকলে নারীরা নিশ্চিন্তে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। শিশুর সঠিক বিকাশ ও শিশুর উন্নয়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি আমেনা বেগম। প্রকল্প পরিচালক শবনম মোস্তারী ডে-কেয়ার সেন্টারটির বিভিন্ন সুবিধা তুলে ধরেন। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা আমাতুল্লা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন এবং অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা বেগমসহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
Leave a Reply